(একটি বৃন্দ আবৃত্তি সংকলন)
\১\
আমি বাংলায় গান গাই
আমি বাংলার গান গাই।
আমি আমার আমিকে চিরদিন
এই বাংলায় খুঁজে পাই।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন
আমি বাংলায় বাঁধি সুর,
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে
হেঁটেছি এতোটা দূর।
বাংলায় আমার জীবনানন্দ
বাংলা প্রাণের সুর,
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি
দেখি বাংলার মুখ।
\২\
মাঘ, ফাগুন, চৈত্র শেষে
বোশেখ মাসের বাতাস এসে,
প্রাণে জাগায় নতুন দোলা
আনন্দে আজ আত্মভোলা।
\৩\
সাদা শাড়ী লাল-পাড়ে
যুবতীরা নতুন সাজে
পাঞ্জাবীতে যুবক যারা,
আনন্দে সব আত্মহারা।
\৪\
আমার মাঝে তোমার মাঝে
বাংলা এলো নতুন সাজে,
গীটার ছেড়ে এক-তারাতে
হাত রাখি তাই সুর তুলিতে।
\৫\
প্রাণে আজি লাগলো দোল
বাংলা ভাষায় মুখের বোল,
ছেড়ে-ছুড়ে হালের বেশ
পোশাক হলো আমার দেশ।
\৬\
আমি বাংলায় ভালবাসি
আমি বাংলাকে ভালবাসি,
আমি তারই হাত ধরে
সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি।
আমি যা কিছু মহান
বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়,
মিশে তেরো নদী সাত সাগরের জল
গঙ্গায় পদ্মায়।
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল
তৃপ্ত শেষ চুমুক,
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি
দেখি বাংলার মুখ।
\৭\
আম গাছেতে আমের বোল
শাখায় শাখায় খাচ্ছে দোল,
গাছে গাছে কাঁঠাল ঝোলা
পাকার আশায় হৃদয় দোলা।
\৮\
কচি আমের হাজার কড়া
আনন্দেতে কুড়িয়ে ফেরা,
কেটে-কুটে আঁচার বানাই
নতুন স্বাদে মুখটি রাঙাই।
\৯\
আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা
ফুল তুলিতে যাই,
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ী যাই।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ,
পাকা আমের মধুর রসে রঙিন করি মুখ।
\১০\
গাছে গাছে নতুন পাতা
শীতল, সবুজ সতেজতা,
দেখলে আজি জুড়ায় প্রাণ
পুরান দিনে আঘাত হান।
\১১\
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে
করি বাংলায় হাহাকার,
আমি সব দেখেশুনে
খেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার।
বাংলা আমার দৃপ্ত শ্লোগান
ক্ষিপ্ত তীর ধনুক।
আমি একবার দেখি, বার বার দেখি
দেখি বাংলার মুখ।
\১২\
তপ্ত বায়ু আগুন ঝড়ায়
স্নিগ্ধ ভূমি জীবন হারায়,
হঠাৎ সবই লণ্ডভণ্ড
বৈশাখী ঝড় করলো পণ্ড।
\১৩\
হাত বাড়িয়ে ছুইনা কিছু
মন বাড়িয়ে ছুই,
পোলাও ভেবে পান্তাগুলো
পেটের ভেতর থুই।
\১৪\
ইলিশ মাখা পান্তা ভাতে
লবন মরিচ সানকিতে,
দই, মুড়ি আর চিড়া খই
মনের সুখে মুখে লই।
\১৫\
এসো হে বৈশাখ এসো এসো
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মূমূর্ষূরে দাও উড়ায়ে
বৎসরের আবর্জনা, দূর হয়ে যাক যাক
এসো এসো।