অবিরাম বরষার আবাহনে নিরন্তর ক্রন্দনে চট্টলা
ঘর্মাক্ত তাপদাহে বিপর্যস্ত প্রাণে ভালবাসার পেলব ছোঁয়া।
চট্টলার মাটি ছুঁয়ে যাওয়া নিরন্তর বরষার রোমান্টিসিজম
ছুঁয়ে যায় বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় বসে থাকা ভাবুকের বুক।
অফিস বারান্দায় ইজি চেয়ারে আমার দোলা দেখে
গির্জার লাল টিনে দোলা জাগায় হিংসুটে বরষা।
লম্পট চেয়ে থাকা ১০০ ওয়াটের বাল্ব শেড ছুঁয়ে দিয়ে
হাসির দমকে নাড়িয়ে দেয় বাতাসের চঞ্চলা দৌড়।
সিমেন্ট বাঁধানো চত্ত্বরে কৃত্রিম চেহারা পাওয়া গাছ
প্রতিটি পাতাকে সযত্নে স্নান করায় প্রাকৃতিক ধারায়।
কৃত্রিম সোডিয়ামের প্রাকৃতিক ছায়া আঁকে রাস্তার জমা পানি
সুখের ছোঁয়ায় ভালবাসায় কাঁপে প্রাকৃতিক সেই ছবি।
পাথরঘাটা গির্জার মরিয়ম মূর্তির মায়া চোখের টানে
ছেঁয়ে থাকা বাগান বিলাস চুঁইয়ে দেয় বরষার রোমান্টিক ছোঁয়া।
বরষার রোমান্টিকতা ছাপিয়ে আশংকার কালো মেঘ অবশেষে
অতিবৃষ্টির অনাসৃষ্টি কখন সমাধি টানে ভাবালু কবিতার!