Skip to content
Home » যুব প্রাণের অন্তরে যুব ক্রুশের পরিত্রাণদায়ী তীর্থযাত্রা

যুব প্রাণের অন্তরে যুব ক্রুশের পরিত্রাণদায়ী তীর্থযাত্রা

পরিত্রাণ ও মুক্তিদায়ী পবিত্র ক্রুশ:

প্রাচীনকালে ক্রুশ প্রতীকের বিভিন্ন ব্যাখ্যা ছিল। মিশরে প্রচলিত ছিল ‘তাও ক্রুশ’ যা ছিল জীবনের প্রতীক। ক্রুশ ‘আনসাতা’ মিশরে জ্ঞান, ভালবাসা এবং হৃদয়ের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হত। গ্রীক ক্রুশের ছিল চার বাহু। চারটি বাহু ছিল- মাটি, বায়ু, জল আর আগুনের প্রতীক। বৌদ্ধদের সোয়াৎটিকা ক্রুশ ছিল আত্মসমর্পণের প্রতীক, যা পরে হিটলারের নাৎসী বাহিনীর প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয়। রোম সাম্রাজ্য ও ইহুদীদের কাছে ক্রুশ ছিল লজ্জা ও ঘৃণার প্রকাশ। গালাতীয়দের কাছে সাধু পলের পত্রে আছে “যাকে ক্রুশে ঝুলানো হয় সেই অভিশপ্ত” (৩ঃ১৩)।

রোম সাম্রাজ্যে ঘৃণ্য, অপমানজনক ও ভয়ংকর মৃত্যুর হাতিয়ার ‘ক্রুশ’ যীশুর স্পর্শে, যীশুর রক্তে স্নাত হয়ে, আজ হয়ে উঠেছে পুণ্য, পবিত্র! বিজয় গৌরবে ভূষিত হবার পূর্বে যীশুকে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। সুদীর্ঘ তপ্ত পাহাড়ী পথ কাঁটার মুকুট মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। বিদ্রুপ, ঠাট্টা তাঁকে সব নীরবে সহ্য করতে হয়েছে। অবশেষে ক্রুশে তিন ঘন্টা অবিরাম কষ্ট সহ্য করে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে স্বর্গস্ত পিতার কোলে তাঁকে আশ্রয় নিতে হয়েছে। প্রভু যীশু খ্রিস্ট এ সমস্ত কিছুই সহ্য করেছেন বিশ্ব সৃষ্টির পরিত্রাণের জন্য। নিজের প্রাণের বিনিময়ে তিনি সৃষ্টিকর্তা হয়েও সৃষ্টজীব মানুষকে পাপমুক্ত করে সন্তানের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে স্বর্গের যোগ্য করে তুলেছেন। খ্রিস্টান হিসেবে আমাদের কি করতে হবে বোঝাতে গিয়ে, যীশু আমাদের আহ্বান করছেন, “কেউ যদি আমার অনুগামী হতে চায়, তবে সে আত্মত্যাগ করুক এবং প্রতিদিন নিজের ক্রুশ তুলে নিয়ে আমার অনুসরণ করুক”।

বিশ্ব যুব ক্রুশের তীর্থযাত্রা:

১৯৮৩-১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ ছিল মণ্ডলীর “মুক্তি’র পুণ্য বর্ষ”। এই বর্ষে পুণ্য পিতা পোপ দ্বিতীয় জন পল উপলব্ধি করলেন, আমাদের বিশ্বাসের চিহ্নস্বরূপ, একটি ক্রুশ, সাধু পিতরের মহামন্দিরের মূল বেদীর কাছে স্থাপন করা যায়। পুণ্য পিতার ইচ্ছায় প্রায় ১৩ ফুট লম্বা একটি বিশাল ক্রুশ সেখানে স্থাপন করা হলো।

পুণ্য বর্ষের সমাপ্তিতে পুণ্য দরজা বন্ধ করার পর, পুণ্য পিতা ক্রুশটি বিশ্বের যুবদের হাতে তুলে দিয়েছেন। রোমের স্যান লরেঞ্জো ইয়ুথ সেন্টারের যুবরা পুণ্য পিতার নিকট থেকে তা গ্রহণ করে। সমবেত যুবদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমার প্রিয় যুব বন্ধুরা, পুণ্য বর্ষের সমাপ্তিতে, এই জুবিলী বর্ষের প্রতীকরূপে আমি তোমাদের হাতে তুলে দিচ্ছি: যীশু খ্রিস্টের পবিত্র ক্রুশ! মানুষের জন্য খ্রিস্টের ভালবাসা’র প্রতীকস্বরূপ ক্রুশটি বিশ্বব্যাপী বহন করো; সকলের কাছে প্রচার করো যে, যিনি মৃত্যুকে পরাজিত করে পুনরুত্থিত হয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁর মাধ্যমেই পরিত্রাণ ও মুক্তিলাভ সম্ভব।” (রোম, ২২ এপ্রিল ১৯৮৪)
যুবরা পুণ্য পিতার আহ্বানে সাড়াদান করেছে। সাধু পিতরের মহামন্দিরের পাশে স্যান লরেঞ্জো ইয়ুথ সেন্টারে ক্রুশকে তারা নিয়ে গেলো। বিশ্বব্যাপী তীর্থযাত্রার সময়টুকু বাদে পবিত্র যুব ক্রুশ এখানেই থাকে, এটিই হয়ে ওঠে যুব ক্রুশের আবাস। তখন এই ক্রুশ ‘পুণ্য বর্ষের ক্রুশ’ নামে পরিচিত ছিল। ‘পুণ্য বর্ষের ক্রুশ’ ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে প্রথমবারের মত জার্মানীর মিউনিখে তীর্থযাত্রা করে। এটি ছিল সাধারণ একটি কাঠের ক্রুশ। প্রথম দৃষ্টিতে, এই ক্রুশের কোন বিশেষত্ব মানুষ বোঝেনি। ধীরে ধীরে সবাই বুঝতে পারে, পুণ্য পিতার ইচ্ছায় এই ক্রুশ একটি প্রেরণ যাত্রা করছে। মিউনিখ শহরের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাপনী খ্রিস্টযাগে ১২০,০০০ খ্রিস্টভক্ত যোগদান করেছেন। ‘পুণ্য বর্ষের ক্রুশ’ খ্রিস্টযাগের মূল বেদীর পাশে স্থাপন করা ছিল খ্রিস্টভক্তদের প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে।
১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দে ‘পুণ্য বর্ষের ক্রুশ’ লুর্দস এবং ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রাগ-এ তীর্থ করেছে। জাতিসংঘ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দকে ‘আন্তর্জাতিক যুব বর্ষ’ ঘোষণা করলে ঐ বছর তালপত্র রবিবারে ৩০০,০০০ যুব সাধু পিতরের চত্ত্বরে পুণ্য পিতার সাথে একটি সভায় মিলিত হয়। ক্রুশটি সেখানেও ছিল। এরপরে গোটা ইউরোপ জুড়ে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শহরে যুব বর্ষের কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হলে ‘পুণ্য বর্ষের ক্রুশ’ সেগুলোতে উপস্থিত ছিল। ইউরোপের ইতালী, ফ্রান্স, লুক্সেমবার্গ, আয়ারল্যাণ্ড, স্কটল্যাণ্ড, মাল্টা, জার্মানী’র বিভিন্ন শহরের রাস্তায় রাস্তায় যুব ক্রুশ যুবদের সাথে তীর্থ করেছে। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে পুণ্য পিতা ঘোষণা দেন, ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে তালপত্র রবিবার’কে মণ্ডলী বিশ্ব যুব দিবস হিসেবে পালন করবে। ধর্মপ্রদেশ পর্যায়ে প্রথম যুব দিবস পালিত হয় ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে এবং প্রথম বিশ্ব যুব দিবস উদযাপিত হয় ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে। প্রতিটি যুব দিবসে ‘পুণ্য বর্ষের ক্রুশ’ উপস্থিত থাকতে শুরু করে।
ধীরে ধীরে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ধর্মপ্রদেশের যুব দিবসে, বিশ্ব যুব দিবসে ও বিশ্ব যুব ফোরামে ‘পুণ্য বর্ষের ক্রুশ’র উপস্থিতি একটি বিশ্বাসের রীতিতে পরিণত হয়। বিভিন্ন নামে পরিচিতি হতে থাকে এই ক্রুশ, যেমন: ‘জুুবিলী ক্রুশ’, ‘বিশ্ব যুব দিবসের ক্রুশ’, ‘তীর্থযাত্রী ক্রুশ’, ইত্যাদি। বর্তমানে ‘যুব ক্রুশ’ নামেই এই ক্রুশ বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
২০০৩ খ্রিস্টাব্দে পুণ্য পিতা ইচ্ছা পোষণ করেন যে, যুব ক্রুশের তীর্থে মা-মারীয়ার একটি প্রতিকৃতি সঙ্গী হিসেবে থাকবে। তিনি তাই মা-মারীয়ার একটি প্রতিকৃতি যুবদের হাতে তুলে দেন। পুণ্য পিতা পোপ দ্বিতীয় জন পল প্রতিকৃতিটি দিতে গিয়ে বলেন,  “আজ জার্মানী’র যুব প্রতিনিধিদের হাতে আমি মা-মারীয়ার একটি প্রতিকৃতিও তুলে দিচ্ছি। এখন থেকে, এই প্রতিকৃতি প্রতিটি বিশ্ব যুব দিবসে ক্রুশের সঙ্গী হিসেবে থাকবে। ঐ দেখ, তোমার মা! প্রেরিত শিষ্য সাধু যোহনের মত প্রভু যে সকল যুবদের আহ্বান করেছেন, এই প্রতিকৃতি হবে তাদের কাছে মা-মারীয়ার ঘনিষ্ট সাহচর্যের চিহ্ন, যাতে করে তারা তাদের জীবনে তাঁকে স্বাগত জানায়।”
জাতীয় যুব ক্রুশের তীর্থযাত্রা:
বাংলাদেশে যুব কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান বিশপ মজেস কস্তা, সিএসসি ২০০২ খ্রিস্টাব্দে দিয়াঙে মা-মারীয়ার পাদতলে অনুষ্ঠিত ১৭তম জাতীয় যুব দিবসে বিরাট এক ক্রুশ উপহার দিলেন যুবদের হাতে। যুব দিবস শেষে চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশের যুবরা ক্রুশটি তুলে দিয়েছে ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের যুবদের হাতে। সেই থেকে প্রতিটি যুব দিবসে উপস্থিত থাকছে আমাদের যুব ক্রুশ। যুব দিবসের সমাপ্তিতে আয়োজক ধর্মপ্রদেশ ক্রুশ তুলে দেয় পরবর্তী আয়োজক ধর্মপ্রদেশের কাছে। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে ২৮তম যুব দিবসে যুব ক্রুশ আবার ফিরে আসে দিয়াঙে। এ’যেন মায়ের সাথে পুত্রের সাক্ষাৎ! প্রথম ক্রুশটি তীর্থযাত্রার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায়, দিয়াঙে আরেকটি নতুন ক্রুশ যুব ক্রুশের স্থলাভিষিক্ত হয় ঐ বছর, এখন যা আমাদের সামনে উপস্থিত।
যুব ক্রুশ বিভিন্ন ধর্মপ্রদেশে তীর্থযাত্রা করছে বিগত ১৮ বছর ধরে। প্রথম দিকে শুধুমাত্র যুব দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীণ যুব ক্রুশ অনুষ্ঠানস্থলে স্থাপন করা হতো। কিন্তু ক্রুশের প্রতি যুবদের গভীর ও দৃঢ় ভক্তি, ভালবাসা ও বিশ্বাস দেখে পরবর্তীতে পরিকল্পনা করা হয় যে, একটি যুব দিবস শেষে যে আয়োজক ধর্মপ্রদেশ যুব ক্রুশ গ্রহণ করবে, সে ধর্মপ্রদেশের প্রতিটি ধর্মপল্লীতে যুব ক্রুশ তীর্থযাত্রা করবে যুবদের হৃদয় স্পর্শ করার উদ্দেশ্যে। আর কি আশ্চর্য! যুবরা বহন করছে সেই ক্রুশকে পরম যত্নে, ভালবাসায়, মমতায়, ভক্তিতে, শ্রদ্ধায়। ক্রুশ তাই ১৮ বছর ধরে তীর্থযাত্রা করছে ধর্মপ্রদেশ থেকে ধর্মপ্রদেশে, ধর্মপল্লী থেকে ধর্মপল্লীতে, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, হৃদয় থেকে হৃদয়ে! কি এক আকুলতা, কি এক ভালবাসা, কি এক অভিব্যক্তিতে আচ্ছন্ন যুবরা! ক্রুশকে নিয়ে জয়োৎসব… জয়যাত্রা। কত প্রজন্মের হাজারো যুব এই ক্রুশকে ছুঁয়ে দেখেছে, এর সাথে নীরবে সময় কাটিয়েছে, প্রার্থনা করেছে, চুম্বন করেছে!
২০১৯ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশে যুব ক্রুশ:
চলমান জয়যাত্রায় পবিত্র সেই ক্রুশ… যুবদের অতি আরাধ্য, অতি প্রিয় ক্রুশ আবার এসেছে চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশে, খ্রিস্টের মুক্তিদায়ী ভালবাসার স্পর্শ দিতে! ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে বরিশালে অনুষ্ঠিত যুব দিবস থেকে যুব ক্রুশ বহন করে এনেছে চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশের যুবরা। যুব ক্রুশ ১৬ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখে প্রথম স্থাপন করা হয় ক্যাথিড্রাল গির্জা চত্ত্বরে। সেখান থেকে যুব ক্রুশ তীর্থযাত্রা করে জামালখান, নোয়াখালী, এজবালিয়া, লক্ষীপুর, আলীকদম, লামা, থানচি, বলিপাড়া, বান্দরবান, রোয়াঙছড়ি, রাঙামাটি, আসামবস্তি ও দিয়াঙে। স্পর্শ করেছে শত শত যুবক-যুবতীর অন্তর। অতি আরাধ্য যুব ক্রুশ বিভিন্ন ধর্মপল্লীতে তীর্থযাত্রা শেষে নভেম্বর মাসে আবার ফিরে এসেছে তার আদি স্থান দিয়াঙ পাহাড়ে। যে মায়ের কাছ থেকে তীর্থযাত্রা শুরু, আবার সেই মায়ের কাছে ফিরে আসা তৃতীয়বারের মত!
একটি আহ্বান:
চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশের দিয়াঙ থেকেই ২০২০ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারী মাসে যুব ক্রুশ যাত্রা করবে আরেকটি ধর্মপ্রদেশে, আরো অনেক যুবক-যুবতীর হৃদয়ে তীর্থযাত্রার উদ্দেশ্যে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ চলবে এই তীর্থযাত্রা; প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জুড়ে! প্রত্যাশা করি, সময়ের ব্যাপ্তিতে আরো হাজারো যুব লাভ করবে খ্রিস্টের পরিত্রাণ ও মুক্তিদায়ী স্পর্শ!
আমরা সবাই এ পৃথিবীর তীর্থযাত্রী। আমরা যাত্রা করেছি স্বর্গের দিকে। এ যাত্রাপথে আমাদের যীশুর মতই নানা দুঃখ, যন্ত্রণা, প্রলোভন সহ্য করতে হয়। যীশুর মত এ পৃথিবীর পাহাড়ী পথে ক্রুশ বহন করে চলতে হয়। আমাদের এই ক্রুশ কাঠের তৈরী ক্রুশ নয়। এ ক্রুশ হলো ন্যায়, সত্য ও পবিত্র পথে চলার সময়ে অন্যায়, অন্যায্যতা ও অধর্মের দ্বারা তৈরী ক্রুশ। এ ক্রুশ পাপের অপশক্তির বিরুদ্ধে চলার সময়ে তৈরী বৈরিতার ক্রুশ। এ ক্রুশ ঈশ্বরের পথে পবিত্র বাইবেলের শিক্ষা অনুসারে চলার পথে ব্যক্তিগত স্বার্থ, কামনা, বাসনা, জাগতিক ভোগ-বিলাসিতা দ্বারা তৈরী ক্রুশ। এ ক্রুশ মানবিক সংকীর্ণতা, মানসিক ও দৈহিক দূর্বলতা দ্বারা তৈরী ক্রুশ। এ ক্রুশ আমাদের সমাজে অন্যায় প্রতিপত্তি, ধন-সম্পদ, আহ্বানের হীন মানসিকতার ক্রুশ। খ্রিস্টের মত আমাদেরও এ ক্রুশ জয় করতে হবে।
ব্যক্তিজীবনে খ্রিস্টানত্বের প্রতীক হিসেবে আমরা গলায় ক্রুশ পরিধান করি। কিন্তু আধ্যাত্মিক জীবনে ক্রুশ থেকে দূরে থাকতেই আমরা ভালবাসি। কারণ ক্রুশ এক অব্যর্থ দর্পন, আয়না স্বরূপ। যীশুর সামনে সকলের পাপ প্রকাশিত হবেই। পাপিষ্ঠা নারীকে পাথর মারার জন্য যে মানুষেরা একত্রিত হয়েছিল, যীশুর সামনে তাদের পাপ প্রকাশিত হয়ে পড়ে। তাই সবাই সে স্থান ত্যাগ করে।
আমাদের জীবনেও ক্রুশকে হতে হবে দর্পণের মত। আমাদের হৃদয়কে এমনই নির্মলভাবে গড়ে তুলতে হবে আত্মকর্ষণের মাধ্যমে, যেন ক্রুশ দর্পণে পঙ্কিলতা প্রকাশিত হবার অবকাশ না থাকে।

Leave a Reply