নাগরিক কাক এখনো ডাকে প্রতিটি ভোরে,
কোকিলের ব্যর্থ প্রয়াস চলে তাকে সুরে বেঁধে নিতে।
নতুনত্ব নিংড়ে উঁকি দেয় পুরাতন সূর্য, আজো …..
তেঁতে ওঠে পথ, দালান, সমস্ত নগর।
বেলা শেষে আরক্ত কোমলতা, আবারো!
গোধূলী বেলায় কিচির মিচির ঐকতানে
পাখিরা ফিরে যায় নীড়ে, নিশ্চিন্তে এখনো।
ঢং ঢং করে গির্জার একাকী ঘন্টাটি
যবনিকা টানে দিনের, সন্ধ্যা নামে আগের মত।
প্রকৃতি নিরন্তর, থামতে জানেনা;
অনিশ্চিত ছন্দপতনে থমকে যায় শুধু নাগরিক!
নাগরিক তাই ব্যস্ততা খুইয়েছে আজ,
অন্ধকার গহ্বরে বিলীন তার
প্রতিদিন ঘর ছাড়া, ছুটে চলা, ঘরে ফেরা, স-ব!
নগরে তাই রিক্সার টুংটাং নেই,
নেই হর্ণ, দম বন্ধ করা ট্র্যাফিক।
উচ্ছল ছাত্রের দল বেঁধে হেঁটে চলা নেই,
ঘর্মাক্ত কর্মজীবির হৈ-হৈ আজ নীরবতার লাশ!
থেমে গেছে মোড়ের টং-এ চায়ের কাপে চামচের ঝড়,
কলের আওয়াজে, হকারের হাঁকে ডাকে
অতীষ্ট হওয়া নেই নাগরিকের!
আজ ফুলহীন শুভেচ্ছায় ২৬ মার্চ সিক্ত হৃদয়ে,
খাঁ খাঁ শিরিষ তলায় আসে পহেলা বৈশাখ;
শূণ্য ডিসি হিলের সাক্ষী রয়ে যায় প্রাচীন বৃক্ষ!
নাগরিক আজ চৌকাঠের ওপারে,
অদৃশ্য আক্রমনে ভীত, কম্পিত!
রাত্রি নামে অশুভ শঙ্কায় –
অদেখা শয়তান ছোঁবে না তো কাল?
চৌকাঠ পেরিয়ে দু’হাত মেলে দিয়ে
মুক্ত আকাশের নতুন সূর্যে নেয়ে ওঠা হবে কি আর?
ভূতুরে নগরে আসে আরেকটি দিন- স্থবির,
গুমরে কাঁদে চট্টলা, নাগরিক বিহীন!