বাতাসে আজ সুকান্তের কবিতা বাজে …
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।
চাঁদ হয় ঝলসানো রুটি,
বহুকাল পরে, আবারো আজ!
অদৃশ্য বিভীষিকার ছোটাছুটি পৃথিবীর রন্ধ্রে,
প্রতিটি নিংশ্বাসে নাকে লাগে মৃত্যুর কড়া গন্ধ।
দিনের পর দিন কাটে ঘরে, নিশ্চল ঘড়ির সামনে
প্রকৃতির রায়ে অন্তরীন, যেখানে হাজতের শিক নেই!
প্রতিটি নিংশ্বাসে নাকে লাগে মৃত্যুর কড়া গন্ধ।
দিনের পর দিন কাটে ঘরে, নিশ্চল ঘড়ির সামনে
প্রকৃতির রায়ে অন্তরীন, যেখানে হাজতের শিক নেই!
তবু সাত-সকালে টুংটাং শব্দ তোলা রিক্সাঅলা,
সব্জি ফেরি করে বেড়ানো সাদা দাড়ি বুড়ো,
দরজার ফাঁকে পেপার ঠেলে দেয়া মায়া চোখের পিচ্চি,
ঝড়ের বেগে পান খিলি করা লাল ঠোঁট মামা-
থামেনা এখনো! পারেনা থামতে।
সব্জি ফেরি করে বেড়ানো সাদা দাড়ি বুড়ো,
দরজার ফাঁকে পেপার ঠেলে দেয়া মায়া চোখের পিচ্চি,
ঝড়ের বেগে পান খিলি করা লাল ঠোঁট মামা-
থামেনা এখনো! পারেনা থামতে।
বয়সী বাপ-মা প্রহর গোনে জায়নামাজে,
ভেজা চুলে লাল টিপ শ্যামা বধূ প্রতীক্ষায়।
পুতুল রেখে পথ চেয়ে আছে আদরী,
বাবা এলো মা? ক্ষুধা লেগেছে বড়!
ভেজা চুলে লাল টিপ শ্যামা বধূ প্রতীক্ষায়।
পুতুল রেখে পথ চেয়ে আছে আদরী,
বাবা এলো মা? ক্ষুধা লেগেছে বড়!
সুকান্তের পরে বয়েছে বহু জল নদীতে,
রয়ে গেছে ক্ষুধা, অনির্বান তেজে।
পৃথিবী তাই আজো গদ্যময়,
এখানে চাঁদ ঝলসে নতুন করে রুটি হয়।
রয়ে গেছে ক্ষুধা, অনির্বান তেজে।
পৃথিবী তাই আজো গদ্যময়,
এখানে চাঁদ ঝলসে নতুন করে রুটি হয়।
ওরাও পথে নামে তাই,
মৃত্যুর গন্ধ ভুলে!
মৃত্যুর গন্ধ ভুলে!